রাতের আঁধারে কাটা হয়েছে রাস্তার সরকারি গাছ,নিরব ভুমিকায় প্রশাসন
বিশেষ প্রতিনিধি:
অনুমতি ছাড়াই রাতের আঁধারে রাস্তার পাশে থাকা সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আমাইড় ইউনিয়নের ভাটপাড়া এবং সিধাতৈল গ্রামের খোকন বর্মন, গিরীশ বর্মন, পরিমল বর্মন, প্রদীপ বর্মন, দিনেশ বর্মন ,বাবলু বর্মন সহ ওই গ্রামের একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় লোকজনদের ভাষ্যমতে, রাতের আঁধারে গাছগুলো কাটে তারা, সবগুলি গাছই জীবিত ছিলো । গাছ কাটার বিষয়ে ইউএনও বা ইউনিয়ন পরিষদের কারো কাছ থেকে কোন অনুমতি নেয়নি তারা।
গত ৪-০১-২০২৫ ইং তারিখ মধ্যরাতে ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তার পাশে থাকা আনুমানিক ৮-১০ টি সরকারি গাছ কাটে। এরপরদিন রাতে কাটা গাছগুলো থেকে খড়ি করার সময় ইউএনও’র পাঠানো ইউপি ভূমি অফিসের নায়েব এবং গ্রাম পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে কাটা গাছগুলো দেখতে পান।
জানা যায় , সড়কের পাশে থাকা গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদের মালিকানাধীন। অনুমতি ব্যাতিরেকে এসব গাছ কাটা আইনত অপরাধ। অথচ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই রাতের আঁধারে রাস্তার পাশে থাকা সরকারি গাছগুলো কেটেছে অভিযুক্তরা।
গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত পরিমল বর্মন বলেন , ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য দু-তিনটা মরা গাছ কাটা হয়েছে। গাছ কাটার বিষয়ে কারো কাছ থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রদীপ বর্মন বলেন, হরিবাসর করার জন্য গ্রামের ছেলেরা চারটা গাছ কেটেছে। তিনটা বড় আর একটা চিকন গাছ গড়ে চারটা গাছ কাটা হয়েছে।
গাছ কাটার বিষেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, সেদিন রাতে ইউএনও স্যার আমাকে ফোন করে গাছ কাটার বিষয়ে জানান । এরপর আমি ওই ওয়ার্ডের মেম্বার এবং গ্রাম পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বলি। পরে তারা ঘটনার সত্যতা আমাকে নিশ্চিত করেছে । গাছ কাটার আগে অভিযুক্তরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন প্রকার অনুমতি নেয়নি।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, তারা দু-তিনটা মরা গাছ কেটেছে। জানতে পেরে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি।পরে কি হয়েছে বলতে পারবো না?
গাছ কাটার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলীমুজ্জামান মিলনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি জানার সাথে সাথে সেদিন রাতেই ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি । এছাড়া গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে গাছগুলো জব্দ করতে এবং থানা ও বন বিভাগে লিখিত অভিযোগ দিতেও বলেছি।
এদিকে গাছ কাটার দু-সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এখনও উল্লেখযোগ্য কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। ইউএনও বলা সত্ত্বেও কাটা গাছগুলো এখনো জব্দ করতে পারেনি ইউপি সদস্য । এছাড়া লিখিত অভিযোগের ক্ষেত্রেও কোন পদক্ষেপ নেই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন