ডিপিডিসি’র এক মূর্তমান আতঙ্কের নাম প্রধান প্রকৌশলী (উন্নয়ন)মোঃ তারিকুল হক।
রফিকুল ইসলাম , স্টাফ রিপোর্টার
01740-921145
বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর হিসেবে সকল ধরনের অবৈধ সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পরও বর্তমানে নিজেকে এ্যাবের সদস্য হিসেবে সর্বত্র জাহির করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নির্বাহী পরিচালকদের চাপে রেখে কোম্পানি ম্যানেজমেন্ট এর সব জায়গায় নিজের কর্তৃত্ব ফলাতে সক্রিয় । সরকার বদলালেও আমি পুরনো জার্সি বদল করে খেলবো।ডিপিডিসি-এর পতিত সরকারে প্রভাবশালীদের সাথে সখ্যতা থাকার কারনে বদলী এবং ক্রয় সংক্রান্ত সব বিষয়ে তার মতামতকে প্রাধান্য দিতে সবসময় বাধ্য করেন।তার স্ত্রী পুলিশের প্রভাবশালী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।আত্মীয় স্বজন প্রশাসনে, দুদকের ভয় ভীতি দেখিয়ে এমডিসহ অন্যান্য পরিচালকদের চাপে রেখে কোম্পানির সকল ধরনের অবৈধ কার্যক্রম হাসিল করে ঠিকাদারদের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করেন।এখন সেই মাত্রাও অতিক্রম করছে। ডিভিডিসির অনেক কর্মকর্তাই বলেন,তিনি হচ্ছেন ডিপিডিসির অঘোষিত মন্ত্রী।তিনি এতই ক্ষমতাবান যে তার স্বেচ্চাচারিতা বিরুদ্ধে স্বয়ং বিদ্যুৎ সচিব ও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি। তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে কয়েকবার বদলির চেস্টা করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ চিফ ইঞ্জিনিয়ার উন্নয়ন দপ্তর হতে সমস্ত প্রকল্পরে ডাটা সমন্বয়ের প্রভাব বিস্তার করার কারণে কোম্পানির প্রকল্প পরিচালকদের কাছ থেকে নিয়মিত উৎকোচের জন্য চাপ দেন।তিনি এতই ক্ষমতাবান যে তার স্বেচ্চাচারিতা বিরুদ্ধে স্বয়ং বিদ্যুৎ সচিব ও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি।তার উপর কোম্পানির অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে দায়িত্বের বাইরে কোম্পানির পরিচালকদের ডিঙ্গিয়ে তিনি মন্ত্রনালয়ের প্রভাবশালীদের নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।তার চাহিদামতো প্রকল্প পরিচালক অবৈধ উৎকোচ জোগান দিতে না পারলে বিভিন্ন ভাবে প্রকল্প পরিচালক সহ ঠিকাদারদের হয়রানি করেন।ফলে ডিপিডিসির প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা তৈরী হচ্ছে। প্রকল্প পরিচালকগন তার অবৈধ হস্তক্ষেপের কারনে হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন।বিগত সময়ে তিনি দুটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ছিলেন।কিন্তু দুর্নীতিও অনভিজ্ঞতার এবং খামখেয়ালীর কারনে ঠিকাদাররা হয়রানির স্বীকার হয়েছে,ফলে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়িত হয়নি ফলে ডিপিডিসি শতকোটি কোটি টাকার উন্নয়ন এবং রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে।প্রকাশ থাকে যে, তার অধীনস্থ প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রাজ্জাকেসহ দুজন মিলে ই টেন্ডারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার বানিজ্য করেছেন।দুইজনের মিলিত দুর্নীতির প্রমাণ থাকার কারনে সম্প্রতি আব্দুর রাজ্জাকের শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছেন।লক্ষনীয় যে, প্রভাবশালীদের সাথে যোগাযোগ থাকার কর্তৃপক্ষ তাকে শাস্তি দিতে পারেনি বা সাহস দেখায়নি যা কোম্পানির সর্বজনবিদিত ।কাজ না করে ঠিকাদারের সাথে যোগসাজসে উৎকোচ গ্রহণ করা তার নিয়মি কাজ।তার কারণেই ডিপিডিসি প্রতিনিয়ত বড়রকমের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
নির্ভরযোগ্য সুত্রমতে বিশেষ করে তার অধীন ডিসিডিসি’র নারী কর্মকর্তাগন তার অনৈতিক প্রস্তাবের কারনে প্রায় সময় হয়রানির স্বীকার হতে হয়। লোক লজ্জা এবং সামাজিকতার বিবেচনা করে তারা অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকেন।তার বিরুদ্ধে বিগত সরকারের আমলে একজন নারী ভুক্তভোগী যৌন নির্যাতনের মত অভিযোগ লিখিতভাবে বিদুৎ বিভাগ বরাবর দাখিল করেন। ডিপিডিসির এইচআর দপ্তরে খোঁজ নিলেই সত্যতা জানা যাবে।তৎকালীন সময়েও প্রভাবশালীদের প্রভাব খাটিয়ে সেই অভিযোগ থেকেও রক্ষা পেয়েছেন।
বর্তমানে তিনি এবারও প্রভাবশালীদের কাজে লাগিয়ে পিজিসিবির মতো রাস্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আবেদন করেছেন।এবার যদি রাস্ট্রের পিসিজিবি এর মত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের এমডি নিয়োগ প্রাপ্তিতে সক্ষম হন তাহলে সরকারের ভাবমূর্তি নস্ট হতে বাধ্য।
ক্ষমতা দেখিয়ে ডিপিডিসির মতো একটি গ্রাহক বান্ধব প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য একমাত্র তিনিই দায়ী।
إرسال تعليق