রাজশাহীতে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদে হত্যার ঘটনায়, গ্রেফতারকৃত ২ জন আসামিকে নিয়ে র্যাবের সংবাদ সম্মেলন
রাজশাহীতে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আকরাম আলী (৪৫) হ*ত্যা*কা*ন্ডে*র মূল হোতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাবের সদস্যরা। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে নগরীর হড়গ্রাম এলাকার র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নগরীর তলায়মারী শহীদ মিনার এলাকার কালু মিয়ার ছেলে নান্টু মিয়া (২৮) ও একই এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে খোকন মিয়া (২৮)। এরমধ্যে নান্টু মিয়া এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা। আর খোকন মিয়া এই মামলার তিন নম্বর আসামি। তাদের শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) গভীর রাতে নওগাঁ সদরের রামরায়পুরের আড়আরাপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাবের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা ঘটনার পরে কোন আত্মীয়স্বজনের বাসায় না গিয়ে গোপনে তারা ভ্যানযোগে নওগাঁয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এরপরে ভ্যান চালকের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে রাতে আশ্রয় নেয়।
তিনি আরও বলেন, গভীর রাতে নওগাঁ সদরের রামরায়পুরের আড়আরাপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। সকালে আসামিদের নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এরআগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকা থেকে রুমেল (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া রুমেল তালাইমারী এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকায় মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা আকরাম আলীকে হ*ত্যা*র ঘটনা ঘটে। এ সময় তার ছেলে ইমাম হাসান অনন্ত আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আকরাম আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় নিহতের ছেলে ইমাম হাসান অনন্ত বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় সাতজনসহ অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিরা হলেন- তালাইমারী শহিদ মিনার এলাকার কালু মিয়ার ছেলে মো. নান্টু (২৮), মৃত রতনের ছেলে মো. বিশাল (২৮), মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে মো. খোকন মিয়া (২৮), তালাইমারী বাবর আলী রোড এলাকার শাহীনের ছেলে তাসিন হোসেন (২৫) ও মো. অমি (২৫), জামালের ছেলে মো. নাহিদ (২৫) এবং পিরুর ছেলে মো. শিশির (২০)।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন