বদলগাছীর ধর্মপুর হোসনিয়া কালিমিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বেতন ভাতা বন্ধের ৫ মাস পর শোকজ
মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু
জেলা প্রতিনিধি,নওগাঁ।
বদলগাছী ধর্মপুর হোসনিয়া কালিমিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বেতন ভাতা বন্ধের ৫ মাস পর শোকজ।
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ধর্মপুর গোয়ালভিটা হোসেনিয়া আলিম মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেনের গত ২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অধ্যবধী প্রর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ বেতন ভাতা বন্ধ করেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি সহ ততকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান।
কোন প্রকার শোকজ বা সাজ পয়েন্টের পএ অধ্যক্ষ কে না দিয়ে সরকারি নিয়ম নিতি কে তোয়াক্কা না করে পূর্ণাঙ্গ বেতন বন্ধ করলে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ১৩৭৯৮/২৪ ইং হাইকোর্টে রিট করলে গত ২/১২/২৪ ইং তারিখে R, ৩৯০৪২৭ মাদ্রাসা ইনডেকে্ বেতন ভাতা বন্ধের শুনানি হলে হাইকোর্ট যথারীতি বেতন ভাতা প্রদানের নির্দেশ দিলে ও উক্ত হাইকোর্টের রিটের রায়কে বৃদ্ধাঙলী দেখিয়েছেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি মর্মে জানা গেছে।
জানা গেছে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তারের মাতৃত্বকালীন ছুটির বেতন বাবদ ১ লাখ ৪ হাজার টাকা, মাদ্রাসার ব্যাংক একাউন্ট থেকে গত ১০/৭/২৪ ইং তারিখ ৭০ হাজার টাকা, ৮/৮/২৪ ইং তারিখ ৭৮ হাজার টাকা,মোট ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা আত্ব্যসাত, সহ গত ২/৯/২৪ ইং তারিখ থেকে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত মর্মে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইন গত ব্যাবস্হা নেওয়া যাবে না তা ৭ দিনের মধ্যে সঠিক জবাব চেয়ে গত ১০/২/২৫ ইং তারিখে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন কে ধ/ম/আ/ম-২৫ /০১ নম্বর স্বারকে শোকজ করেন অএ মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ।
উক্ত বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে শোকজ অথবা সাজ পেন্ট না করে একজন শিক্ষকের বেতন ভাতা বন্ধ সরকারি নিতিমালায় সঠিক আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অধ্যক্ষ মাদ্রাসায় আসে না জন্য তৎকালীন ইউএনও রেজুলেশন করে বেতন ভাতা বন্ধ করেছেন,তিনি বলেন আমি শুধু কারণ দর্শানো নোটিশ করেছি গত ১০ তারিখে।
উক্ত মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষিকা শারমীন আক্তারের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যোগদানের একমাস অতিবাহিত না হতেই মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন করি যথা সময় ছুটি ভোগ করি। ১ লাখ ৪ হাজার টাকা সরকারের কোষাগারে ফেরত দিতে স্যার আমাকে বল্লে আমি তাহা ফেরত প্রদান করি।অধ্যক্ষ আপনাকে উক্ত টাকা ফেরত প্রদান করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গোবর চোপাহাটে চায়ের দোকানে ফেরত দিলে আমার উক্ত টাকা অত্র মাদ্রাসা প্রভাষক মাওলানা রেজাউল করিমের কাছে আমানত রয়েছে।
উক্ত টাকা বিষয়ে প্রভাষক মাওলানা রেজাউল করিমের মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই টাকা শিক্ষিকা শারমিনের সামনে দিলে আমার কাছে আমানত আছে।
উক্ত শিক্ষিকা শারমিনের বেতনের টাকা ফেরত বিষয়ে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনের কাছে মোবাইর ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৯৭৯ সালের নিতিমালায় বেসরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীর কর্মরতের দুই বছরের মধ্যে সি,এল, ছুটি ব্যতীত অন্য কোন ছুটি নীতিমালায় নেই,মর্মে উক্ত বেতনের টাকা ফেরতের জন্য দিয়েছিল, কিন্তু কয়েক দিন পরে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমি গোবর চাপা হাটে প্রভাষক রেজাউলের সামনে টাকাটা ফেরত প্রদান করেছি।
মাদ্রাসায় যান কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে কোন প্রকার শোকজ কিন বা সাজ পেন্টের চিঠি না দিয়ে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে নিয়োগ দিয়ে, আমার বেতন ভাতা বন্ধ করেছেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আমানুল্লাহ দেওয়ান এর কাছে মোবাইল ফোনে কোন শিক্ষক কে শোকজ বা সাজ পেন্ট না করে, ভারপ্রাপ্ত নিয়োগ ও তার বেতন ভাতা বন্ধে সরকারি নিতিমালায় কোন গ্যাব রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু গ্যাব রয়েছে, আমি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিকে বুঝাতে অক্ষম।
মিঠাপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুজাহিদুল ইসলামের কাছে কোন শিক্ষকের সাসপেন্ড অথবা শোকজের পূর্বে পূর্ণাঙ্গ বেতন বন্ধ করা নীতিমালায় আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাজপেন্ট হলে ৬০ দিন অর্ধেক বেতন পাবে, আর যদি বোর্ড আর বিষ্টেষণ শাখার নির্দেশে বহিষ্কার হয় তাহলে পূর্ণাঙ্গ বেতন বন্ধ করা যাবে।
বদলগাছী উপজেলার গোয়াল ভিটা হোসনিয়া কালিমিয়া আলিম মাদ্রাসায় চলছে রশি টানা টানি সহ চাপা উত্তেজনা। এলাকার স্বচেতন মহলের কাছে জানতে চাইলে তিনারা বলেন, দিল্লি থেকে আসা সৈয়দ আছরার আহম্মেদ কালিমি প্রথমে খানকাহ হিসাবে পরে মাদ্রাসা তৈরি করেছেন, তার মাধ্যমে ১৮ বিঘা জমি নিয়ে গঠিত মাদ্রাসা। অলিদের মাদ্রাসায় নিজের বিবেককে অনিয়ম জটিলতায় এবং বিবেকহীন কর্মে জরিয়ে গেলে তার সন্মান ইজ্জত হানি এমনিতেই হয়ে যায়। তবে আমরা ভবিষৎ ছেলে মেয়েদের স্বার্থে সকল সমস্যার সমাধান চাই।
স্থানীয় এলাকার সচেতন ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য নুরুজ্জামান লিঠন মোবাইল ফোনে দৈনিক যায় যায় বেলা ও দৈনিক দিগন্তের বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিনিধিকে জানান কারন দর্শানোর জন্য পোস্ট অফিসের মাধ্যমে তার কাছে শোকজের চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে ভাই ।
উক্ত মাদ্রাসার বিষয়ে জানার চেষ্টায় বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান সনি এর মোবাইল ফোনে বারংবার সকাল সাড়ে ৯ টায় ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই, এবং পরে ব্যাক ও করে নাই,মর্মে কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
إرسال تعليق