সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ

 







মানবতার পক্ষে এক বিশাল সংহতি বিশ্বজুড়ে লংমার্চ টু গাজা মানবতা এখনো বেঁচে আছে দৃষ্টান্ত  দেখালো  বিশ্ববাসী 


আলামিন  ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার। 

আজ, ১১ এপ্রিল ২০২৫, সারা বিশ্বজুড়ে একযোগে পালিত হলো “লং মার্চ টু গাজা” কর্মসূচি। এই  বিশ্বব্যাপী মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে, কারণ এটি শুধু একটি রাজনৈতিক প্রতিবাদ নয়, বরং মানবতার পক্ষে দাঁড়ানোর এক জোরালো উচ্চারণ। লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ রাস্তায় নেমে এসেছেন গাজার নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতি জানাতে, তাদের মৌলিক অধিকার আদায়ের দাবিতে সোচ্চার হতে।দল-মত নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে 


বিশ্বের নানা প্রান্তে—ঢাকা, লন্ডন, ইস্তাম্বুল, কুয়ালালামপুর, নিউ ইয়র্ক, কেপটাউন, টোকিওসহ বহু শহরে—মানুষ হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছে গাজার নিপীড়নের বিরুদ্ধে। একসঙ্গে এই প্রতিবাদ যেন নতুন করে মনে করিয়ে দেয়, মানবতার কোনো সীমানা নেই।


এই আন্দোলনের পেছনে রয়েছে একটি শক্তিশালী আহ্বান—গাজার জনগণের ওপর চলমান অবরোধ ও সহিংসতা বন্ধ করা, এবং তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া। অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, সমাজকর্মী, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পী ও অসংখ্য সাধারণ মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও #LongMarchToGaza হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে লক্ষাধিক মানুষ গাজার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।


বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও এই আন্দোলনের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন শহরে আয়োজিত হয় শান্তিপূর্ণ র‍্যালি ও মানববন্ধন। ঢাকা প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, “গাজার শিশুদের কান্না থামাতে আমাদের সম্মিলিত প্রতিবাদই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।” তারা অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।


গাজা এখন কেবল একটি ভূখণ্ড নয়, এটি হয়ে উঠেছে এক মানবিক সংকটের প্রতীক। “লং মার্চ টু গাজা” প্রমাণ করে দেয়, বিশ্ববাসী এখন আর নিরব নয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তারা জানিয়ে দিয়েছে, মানবতা বেঁচে আছে, প্রতিবাদই তার শক্তিশালী ভাষা।


এই দিনটি ইতিহাসের পাতায় স্থান পাবে একটি নিদর্শন হিসেবে—যেখানে গোটা বিশ্ব একসাথে দাঁড়িয়েছিল একটি নিপীড়িত জাতির পাশে, ন্যায়বিচারের পক্ষে।

Post a Comment

أحدث أقدم